ট্রান্সফরমারের ব্যাসিক নিয়ে আলোচনা - Electrical world

Latest

On this website I will discuss various types of electrical components.On this website I will show how to do house wiring, how to do underground wirring and how to do overhead wirring and I will discuss different electrical diagrams on this website.

Saturday, April 18, 2020

ট্রান্সফরমারের ব্যাসিক নিয়ে আলোচনা

ট্রান্সফরমারের বিষয়বস্তু  নিয়ে আলোচনা।


ট্রান্সফরমারের ব্যাসিক নিয়ে আলোচনা
transformer


➤ট্রান্সফরমারের কার্যপ্রণালী:ট্রান্সফরমারের প্রাইমারী ওয়্যান্ডিং এ AC Power সরবরাহ করিলে কোরে একটি ফ্লাক্স সৃষ্টি হয় এই ফ্লাক্স ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন পদ্ধতিতে সেকেন্ডারী ওয়্যান্ডিং কে কর্তন করে এবং সেকেন্ডারীতে ভোল্টেজ উংপন্ন হয়।সাধারণত:

ক)ট্রান্সফরমার এক সার্কিট হতে অন্য সার্কিটে সসান পাওয়ার সরবরাহ করে।
খ)পাওয়ার স্থানান্তরের সময় ফ্রিকোয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে।
গ)ইহা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে।

ট্রান্সফরমারের ব্যবহার সমূহ নিচে দেওয়া হলো।যথা:


১)ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে
২)বৈদ্যুতিক কমিউনিকেশন সার্কিটে
৩)টেলিফোন ও কন্ট্রোল সার্কিটে
৪)রেডিও টেলিভিশন,টেপরেকর্ডার, ভিসিআর ইত্যাদিতে।


অন্যান্য বৈদ্যুতিক মেশিনের তুলনায় ট্রান্সকরমরের কর্মদক্ষতা বেশী হয় কেন?


ট্রান্সফর্মার একটি স্থির বৈদ্যুতিক মেশিন অর্থাৎ ইহাতে কোন ঘুরন্ত অংশ থাকে না। ফলে ইহাতে ঘর্ষণ ও হাওয়া কাটা জনিত অপচয় হয় না। তাছাড়া ইহার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কয়েলদ্বয় এতো নিকটে থাকে যে,এক কয়েল উৎপন্ন চুম্বকীয় বল রেখা অন্য কোয়েলের সহিত আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে সংশ্লিষ্ট হইতে পারে
এই সমস্ত  কারণ অন্যান্য মেশিনের তুলনায় ইহার কর্মদক্ষতা অনেক বেশি।একটি ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা 99%  পর্যন্ত হইতে পারে।


➤ট্রান্সফরমারের লস সমূহ কি কি?


ট্রান্সফরমারের লসমূহ হচ্ছে:

♦কোর লস:কোর লসের  পরিমাণ ট্রান্সফরমারের যেকোনো লোডে একই থাকে।তবে প্রাইমারি আরোপিত ভোল্টেজ হ্রাস বৃদ্ধির উপর এ লস  যথাক্রমে কমবেশি হয়।কোর লস  দুই প্রকার যথা:

১)এডি কারেন্ট লস লস
২)হিসটেরিসিস লস

♦কপার লস:কপার লস সাধারণত লোডের উপর নির্ভর করে। কপার লস দুই প্রকার যথা:
১) প্রাইমারি ওয়্যান্ডিং এ কপার লস
২)সেকেন্ডারী ওয়্যান্ডিং এ কপার লস


  
♦এডি কারেন্ট লস: যখন একটি বৈদ্যুতিক চুম্বক এর কোয়েল এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবর্তিত হতে থাকে তখন এর চতুর্পাশ্বস্থ  চৌম্বক ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয় ও কোর পদার্থকে  কর্তন করে। এর ফলে কোরে ভোল্টেজের  সৃষ্টি হয় এবং ভোল্টেজের কারণে কোরে  একটি কারেন্ট আবর্তিত হতে থাকে। এ আবর্তিত কারেন্ট এডি কারেন্ট বলে।এডি কারেন্ট কোরের ভিতর দিয়ে   প্রবাহিত হওয়ার সময় কোর রেজিস্ট্যান্স কর্তৃক  বাঁধা গ্রস্ত হয়ে যে অপচয়ের সৃষ্টি করে তাকে এডি কারেন্ট লস বলে।

কমানোর উপায়:এডি কারেন্ট লস কমানোর জন্য উচ্চ রেজিস্ট্রিভির  চৌম্বক পদার্থের কোর ব্যবহার করা হয়।


♦হিসটিরিসিস লস:অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রতি অর্ধ  সাইকেল অন্তর অন্তর দিক পরিবর্তন করে, ফলে চুম্বকীয় ফ্লাক্স একবার সর্বোচ্চ পজেটিভ মানে ও আরেকবার সর্বোচ্চ নেগেটিভ মানে প্রবর্তিত হয।কোরে চুম্বক  ক্ষেত্রের মেরুর দিক পরিবর্তন হয়। এ পর্যায়ক্রমিক চুম্বকীকরন ও বিচুম্বকীকরনের  ফলে কোরের অনুচুম্বক গুলো খুবই দ্রুত স্বংস্থানে নড়াচড়া করতে থাকে ও বারবার দিক পরিবর্তন করতে থাকে। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে পাওয়ার ব্যয় হয়। এই  পাওয়ার  অপচয় হওয়াকে হিসটেরেসিস লস বলে

কমানোর উপায়:হিসটেরেসিস লস কমানোর জন্য উচ্চ গুণসম্পন্ন ম্যাগনেটিক স্টীরের কোর  যেমন-ম্যাংগানিজ স্টীল বা  সিলিকন স্টীল  ব্যবহার করা হয়।

No comments:

Post a Comment